জলমগ্ন এলাকার মানুষ : ক্ষোভ তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর এর বিরুদ্ধে

28th July 2021 5:55 pm বর্ধমান
জলমগ্ন এলাকার মানুষ : ক্ষোভ তৃণমূলের প্রাক্তন কাউন্সিলর এর বিরুদ্ধে


নিজস্ব সংবাদদাতা ( বর্ধমান ) :  জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শনে পূর্ব বর্ধমান জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি । প্রাক্তন কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ স্থানীয়দের। 

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির জেরে বাঁকা নদীতে জল বাড়ায় ভোগান্তি বর্ধমান ১৯ নং ওয়ার্ডের পির বাহারম ডাঙ্গা পাড়া এলাকায়।বাঁকা নদীতে জল বৃদ্ধি পাওয়ায়,নদীর জল ঢুকে ঘরছাড়া ডাঙ্গা পাড়া এলাকার বাসিন্দারা।আপাতত তারা মাথা গুঁজেছেন স্থানীয় ক্লাবে।অসহায় মানুষদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন স্থানীয় যুব তৃণমূলে কংগ্রেস।এই অবস্থায় ১৯ নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার সাহাবুদ্দিন খান এলাকা পরিদর্শনে না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।অবিরাম বৃষ্টির কারনে বাঁকা নদীতে জল বাড়ায় বর্ধমান  ১৯ নং ওয়ার্ডের পির বাহারম ডাঙ্গা পাড়া এলাকায় প্রায় ৩০ - ৪০ টি বাড়ি জলে ডুবে আছে।স্থানীয় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে এই এলাকার সমস্ত মানুষদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।এই বিষয়ে সেচ  দপ্তরের সঙ্গে ও আলোচনা করা হয়েছে বলে জানান পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার।জয়হিন্দ বাইনিরি শহর সভাপতি পল্লব দাস অবশ্য বলেন এটা একটা প্রাকৃতিক বিপর্যয় এই রকম প্রবল বর্ষণ দীর্ঘ কয়েক বছর দেখিনি।বাঁকার জলে এই এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়ি জলমগ্ন।যুব তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষথেকে অসহায় এই মানুষদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন স্থানীয় যুব তৃণমূল কংগ্রেস।জলমগ্ন এলাকায় প্রাক্তন কাউন্সিলার সাহাবুদ্দিন খান না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।  স্থানীয় যুবক সেখ হুসেন বলেন ঈদের চাঁদের মতো দেখাই যায়না  প্রাক্তন কাউন্সিলার সাহাবুদ্দিন খানকে।শুধু ভোটের সময় ভোট পাওয়ার জন্য আসেন প্রাক্তন কাউন্সিলার।অন্য সময় তাকে আর দেখা যায়না।তিনি কোনো দিন পাড়ার কোন গরিব মানুষদের কোনো উপকার করেননি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন যুবক।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।